এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়ম | Airtel emergency balance code


আসসালামু আলাইকুম! সবাই কেমন আছেন? আপনারা যারা এয়ারটেল সিম ব্যাবহার করেন তাদের জন্যে আজকের এই পোস্টটি খুব উপকারী হতে চলেছে। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়ম এবং কত টাকা ইমারজেন্সি নিলে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব। 

এয়ারটেল বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে অন্যতম। এবং সময়ের সাথে এটি মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার মাধ্যমে দিন দিন আরও জনপ্রিয় হচ্ছে এবং সেই সাথে এর ব্যাবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। আর এই ক্রম বর্ধমান অগ্রগতিকে ধরে রাখতে এয়ারটেল ও অন্যান্য অপারেটরদের মতই ইমারজেন্সি ব্যাল্যান্স এর ব্যাবস্থা করেছে। 

আমদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কোন না কোন সময় একটা প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে উপলদ্ধি করেছেন যে আপনার সিমের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেছে। এবং আশেপাশে কোন দোকান ও নেই যে আপনি তাৎক্ষনিক রিচারজ করে নিবেন। যদিও বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে খুব সহজেই মোবাইল রিচারজ করে নেওয়া যায়। তবে তার জন্যেও উপযুক্ত পরিবেশ দরকার পরে। 

আর ঠিক এমন সময়েই আমরা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এর প্রয়োজনীয়তাটা উপলদ্ধি করতে পারি। তবে আমরা যারা এয়ারটেল ব্যাবহারকারি আছি তাদের জন্যে সুখবর হল, আমরা চাইলেই আমাদের মোবাইলে যেকোনো জায়গা থেকেই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারি। 

কিভাবে এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স লোনের যোগ্য হবেন | How to get eligible for Airtel emergency loan

হ্যাঁ আমি ঠিকই বলছি। যে কেও কিন্তু চাইলেই এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স লোন নিতে পারবেন না। এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স লোন নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন নিয়মিত ব্যাবহারকারি হতে হবে। অর্থাৎ, আপনার কাছে একটা এয়ারটেল সিম আছে কিন্তু আপনি সেট খুব একটা ব্যাবহার করেন না। এ ধরনের সিম দিয়ে আপনি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন না। 

আপনার সিমটিকে এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স লোনের যোগ্য করতে হলে আপনাকে সেই সিমটি একটানা ৩ মাস ব্যাবহার করতে হবে। এবং গত তিন মাসের রিচারজের পরিমাণটাকেও সভাবিক রাখতে হবে। আসলে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এয়ারটেল নিশ্চিত হতে চাই যে আপনার সিমটি একটি নিয়মিত সিম। 

একবার আপনার সিমটি এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স লোনের যোগ্য হয়ে গেলে আপনি খুব সহজেই কোড ডায়েল করার মাধ্যমে ব্যালেন্স নিতে পারবেন। প্রথমত আপনকে ১২ টাকা লোন দেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে আপনার লেনদেনের ধরন অনুযায়ী লোনের পরিমাণ প্রায় ১০০ টাকা পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে। 

Read more:

এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড | Airtel Emergency balance code

অন্যান্য অপারেটরদের মতই এয়ারটেলেও একটি নির্দিষ্টও কোডের মাধ্যমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে হয়। এবং এই কোডগুলো আপনি আপনার মোবাইল থেকে ডায়েল করার মাধ্যমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স লোন, ইমারজেন্সি মিনিট লোন অথবা ইমারজেন্সি ইন্টারনেট ব্যালেন্স নিতে পারবেন। 

এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোডঃ *১৪১# 

বর্তমানে এয়ারটেল সিম এর ইমারজেন্সি ব্যালেন্স সংক্রান্ত সকল সেবা এই একটি কোডের মাধ্যমেই গ্রহণ করতে পারবেন। আপনার এয়ারটেল সিমে এই কোড টি ডায়েল করার মাধ্যমে আপনি এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালেন্স, ইমারজেন্সি মিনিট, এবং ইমারজেন্সি ইন্টারনেট প্যাকেজ নিতে পারবেন। 

এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুনঃ 

ধাপ-১ঃ প্রথমেই আপনার মোবাইলের ডায়েল প্যাডে যাবেন এবং *১৪১# ডায়েল করবেন। 


ধাপ-২ঃ এবার আপনি ওপরের মত একটা মেনু দেখতে পারবেন। এখান থেকে আপনার পছন্দমত প্যাকেজটি সিলেক্ট করুন। মিনিট প্যাক নিতে Aro dekhte অপশনটিতে ক্লিক করুন এবং মিনিটের প্যাকটি সিলেক্ট করুন। 

অবশ্যই  এয়ারটেল এর ইমারজেন্সি লনের পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং পরবর্তী রিচারজের মাধ্যমে সার্ভিস চার্জ সহ আপনাকে তা পরিশোধ করতে হবে। আপনি যদি পূর্ববর্তী ঋণের টাকা পরিশোধ না করে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে আরে ঋণ পাবেন না। 

এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দেখার কোড | Check Airtel emergency balance

উপরের কোড ব্যাবহার করে আপনি খুব সহজেই এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন। কিন্তু যেহেতু আমারা একবারেই পুর ব্যালেন্স ব্যাবহার করি না তাই অনেক সময়ই আমাদের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এর পরিমাণ দেখার প্রয়োজন পরে। 

এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দেখার কোডঃ *১৪১# 

উপরোক্ত কোড টি ডায়েল করলে আপনাকে এয়ারটেল এমারজেন্সি ব্যালেন্স এর মেইন মেনুতে নিয়ে যাবে। এয়ারটেল এমারজেন্সি ব্যালেন্স এর মেইন মেনু থেকে ৩ নং অপশন Account সিলেক্ট করলেই আপনি আপনার বর্তমান ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এর পরিমাণ দেখতে পাবেন। 

    এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স লোনের পরিমাণ এবং এর সার্ভিস ফী | Amount and fee of Airtel Emergency loan

    যদিও বর্তমানে বাংলাদেশে কয়েকটি অপারেটর আছে যারা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এর ওপর কোন ধরনের সার্ভিস ফী গ্রহণ করে না। তবে এয়ারটেল এখনও তাদের গ্রাহকের কাছ থেকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স এর  পরিমাণের উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সার্ভিস ফী হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। 

    নিম্নে এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স লোনের পরিমাণ এবং এর সার্ভিস ফী ছক আকারে দেওয়া হলঃ 

    ঋণের পরিমাণসার্ভিস ফীপরিশোধ করতে হবে
    ১২ টাকা২.৬৭ টাকা১৪.৬৭ টাকা
    ১৫ টাকা২.৬৭ টাকা১৭.৬৭ টাকা
    ২২ টাকা২.৬৭ টাকা২৪.৬৭ টাকা
    ২৫ টাকা২.৬৭ টাকা২৭.৬৭ টাকা
    ৩২ টাকা২.৬৭ টাকা৩৪.৬৭ টাকা
    ৫০ টাকা২.৬৭ টাকা৫২.৬৭ টাকা

    উপরোক্ত ছক থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আপনি যত টাকাই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেন না কেন সার্ভিস ফী এর পরিমাণ সব সময় একই থাকবে। অর্থাৎ আপনার গৃহীত টাকার পরিমাণের সাথে ২.৬৭ টাকা যোগ করে পরিশোধ করতে হবে। তবে উপরোক্ত ঋণ এবং সার্ভিস ফী এর পরিমাণ এয়ারটেল চাইলেই পরিবর্তন করে দিতে পারে। 

    শেষ কথা 

    পরিশেষে বলতে পারি এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিষেবা। যদিও এয়ারটেল প্রকৃত ঋণের থেকে একটু বেশি আদায় করে থাকে। তবে প্রয়োজন পরলে অবশ্যই আপনি ব্যাবহার করতে পারেন। 

    আমি এই পোস্ট এ এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স এর সাথে সম্পর্কিত সকল বিসয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি এবং আশা করছি যে আপনি এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সঙ্ক্রান্ত সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। তবে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টে জানাবেন। 

    পোস্টটি পরার জন্যে ধন্যবাদ! 

    Next Post Previous Post
    No Comment
    Add Comment
    comment url