বাংলাদেশের জন্য কোন কোন দেশের ভিসা খোলা আছে


আসসালামু আলাইকুম! আশা করি সবাই ভাল আছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে কাজের অভাব থাকার কারণে আমরা অনেকেই বিদেশ যাবার জন্য আগ্রহী হই। কিন্তু কোন দেশে কেমন চাকরির সম্ভাবনা তা না জানার কারণে অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না যে কোন দেশে কাজের জন্য যাওয়া উচিত হবে। 

বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য, উন্নত বিশ্বের সকল দেশেই প্রায় ভিসা খোলা থাকে। কিন্তু বর্তমান করনা পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ দেশেই আর বাইরে থেকে কর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে না। কিন্তু এখনো এমন অনেক দেশ আছে যারা নিয়মিতভাবে কর্মী নিয়ে যাচ্ছে এবং সেই সকল দেশে বাংলাদেশের ভিসাও খোলা আছে। 

এছাড়াও আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজনে যান আবার অনেকেই ব্যাবসায়িক কাজে যান। তো এটা কোন বিষয় না যে আপনি কোন দেশে কি কারণে যাচ্ছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সেই দেশে কি বাংলাদেশের জন্য ভিসা খোলা আছে কিনা। 

বাংলাদেশ থেকে যে সকল দেশের ভিসা পাওয়া যায় 

বাংলাদেশ থেকে প্রায় সব দেশের ভিসায় পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ ই বিদেশ কাজের খোজে যান। আমরা যারা কাজের উদ্দেশে বিদেশ যাই তারা সাধারণত একটু উন্নত এবং সম্পদশালী দেশগুলোতে যাবার চেষ্টা করি যেমন আরব বিশ্বের দেশগুলো, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, উজবেকিস্তান, ইতালি, সাইবেরিয়া ইত্যাদি। কারণ উন্নত এবং সম্পদশালী দেশগুলোতে অধিক পরিমাণে মজুরি পাওয়া যায়। 

শুধুমাত্র ইজরাইল ছাড়া পৃথিবীর সকল দেশেই বাংলাদেশের জন্য টুরিস্ট, বিজনেস এবং চিকিৎসা ভিসা খোলা আছে।  কিন্তু জব ভিসার জন্য এমনটা না, তাই নিচে আমি কোন কোন দেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্যে জব ভিসা খোলা আছে তার একটি তালিকা দিয়ে দিলামঃ

যে সকল দেশে বাংলাদেশের জন্মে ভিসা খোলা আছেঃ 

দেশের নামভিসার ধরন
সৌদি আরবওয়ার্ক পারমিট
সংযুক্ত আরব আমিরাতওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসিট ভিসা
কম্বোডিয়াজব ভিসা
ওমানজব ভিসা
জর্ডানজব ভিসা
কুয়েত জব ভিসা
কানাডাবন্ধ।
ইতালিবন্ধ।
কাতারবন্ধ।
উজবেকিস্তানবন্ধ
সার্বিয়াখোলা ।
রোমানিয়াবন্ধ।
আলবেনিয়া খোলা ।
রাশিয়াবন্ধ।
সিঙ্গাপুরখোলা ।
মালয়েশিয়াবন্ধ।
ফ্রান্সখোলা।
রোমানিয়াবন্ধ।
আলজেরিয়াবন্ধ।
ফিজিবন্ধ।
মালদ্বীপবন্ধ।
মরক্কোবন্ধ।
ফিনল্যান্ডবন্ধ।
বেলারুশজব ভিসা
আয়ারল্যান্ডজব ভিসা
জর্জিয়াবন্ধ।

সৌদি আরবে ওয়ার্ক পারমিট কাজের ভিসা 

বাংলাদেশের সব থেকে বড় কাজের বাজার হল সৌদি আরব। সৌদি আরাওবের ওয়ার্ক পারমিট কাজের ভিসা বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য খোলা রয়েছে। এবং আপনি যদি চান তাহলে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেই সৌদি আরবে যেতে পারবেন । 

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যেতে প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা লাগতে পারে। বর্তমানে সৌদি আরবে বিভিন্ন ধরনের কাজের কাজের সুযোগ রয়েছে। একজন বাংলাদেশি তার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী প্রতিমাসে ২৫  থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেতে পারে। 

সংযুক্ত আরব আমিরাত ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসিট ভিসা

সৌদি আরবের পরেই যেই দেশ বাংলাদেশের সব থেকে বড় কাজের বাজার হল সংযুক্ত আরব আমিরাত। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসিট ভিসার মাধ্যমে আপনি সরকারিভাবে যেতে পারবেন। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন ধরেনের কাজের চাহিদা আছে যেমন মোটরসাইকেলের মাধ্যমে ডেলিভারির কাজ। কন্সট্রাকশন এর কাজ ইত্যাদি । একজন দক্ষ বাংলাদেশি সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

কম্বোডিয়া জব ভিসা 

বাংলাদেশর শ্রম বাজারের জন্য কম্বোডিয়া একটি নতুন সম্ভাবনার নাম। আপনি যদি চান তাহলে পুরপুরি সরকারি ভাবেই কম্বোডিয়াই যেতে পারবেন। এটি একটি নতুন বাজার হলেও যারা দক্ষ মানুষজন তাদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে এই দেশে। 

বর্তমানে কম্বোডিয়ায় যারা বিভিন্ন কাজে দক্ষ তাদের ভাল পোস্টে চাকরি হচ্ছে। আর একজন বাংলাদেশি কম্বোডিয়াই প্রতিমাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে সুরু করে প্রায় ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। কিন্তু দক্ষতা না থাকলে কোনভাবেই এই দেশে যাওয়া উচিত নয়। 

ওমানের জব ভিসা 

ওমানে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে যেমন কন্সট্রাকশন এর কর্মী, দোকানে সেলসম্যান, ক্লিনিং এর কাজ ইত্যাদি। আর আমাদের বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ সরকারি ভাবে ওমান যাওয়ার সিউজগ রয়েছে। 

তবে ওমানে কাজের বেতন সবথেকে কম একজন বাংলাদেশি চাইলে প্রতিমাসে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারে।

জর্ডান জব ভিসা 

জর্ডান বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য এক অপার সম্ভাবনার দেশ। যদিও অন্যান্য কাজেরও  সুগ রয়েছে জর্ডানে। কিন্তু আপনি যদি একজন গার্মেন্টস শ্রমিক হয়ে থাকেন তাহলে বুয়েসেল এর মাধ্যমে সহজে সরকারিভাবে জর্ডানের চাকরির উদ্দেশে যেতে পারবেন। 

কুয়েত এ জব ভিসা 

সবশেষে আমরা যে দেশ নিয়ে আলোচনা করব তা হল কুয়েত। বর্তমানে কুয়েতে সরকারিভাবে ভিসাস চালু আছে এবং আপনি চাইলেই সহজেই জব ভিসার মাধ্যমে কুয়েতে যেতে পারবেন। 

শেষ কথা 

আমরা সকলেই জানি যে বর্তমানে কিছু আদম বাবসায়ী আছে যারা বিভিন্ন কাজের লোভ দেখিয়ে নিরীহ মানুষদের টাকা মেরে খায়। সুতরাং আপনাদের কাছে আমি অনুরধ করছি যে আপনারা সরকারি মাধ্যম ছারা অন্য কোন মাধ্যমে বিদেশ যাবেন না। 

আর নিজের কাছের মানুষদের ছেড়ে এমন কোন কাজের উদ্দেশে যাবেন না যে দিনশেষে কাজ না পেয়ে হতাশ হতে হয়। আমি এখানে অনেক দেশের নাম উল্লেক করিনি কারণ সেই সকল দেশে বর্তমানে সরকারিভাবে যাবার কোন মাধ্যম নেই। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url